সুইজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘এ কিউ এয়ার’-এর তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর মান থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিষাক্ত প্লাস্টিকের কণা।

এসব ফুসফুসে মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকেই নানা সংক্রমণ, অ্যাজমা, সিওপিডির মতো যাবতীয় রোগের শুরু হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ কিছু জিনিস প্রতিদিন করতে পারলে এ সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ফুসফুস ভালো রাখতে করণীয়

ধূমপান না করা

এত দিন পারেননি কিন্তু এবার পারতে হবে। কারণ, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দূষণ এবং ধূলিকণার দোষ যদি হয় ৬০ শতাংশ, তা হলে ৪০ শতাংশ দায় কিন্তু ধূমপানের। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ ‘সিওপিডি’ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী সেই ধূমপান। তবে সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশের পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু আক্রান্ত হন।

ব্যায়াম করা

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যায়াম করা আবশ্যিক। কিন্তু ফুসফুসের কার্যকারিতা ভালো রাখতে গেলে বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করার পাশাপাশি তার কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে করা এই ব্যায়ামগুলো কাজ করতে করতেও করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, যে ব্যায়ামই করুন না কেন তা যেন পরিমিত হয়। অতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে অনেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া

পানি খেলে শরীরের অর্ধেক রোগই সেরে যায়। বুকে জমা সর্দি বা কফ পাতলা করতেও সাহায্য করে জল। এ ছাড়াও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ থেকে দূষিত পদার্থ বাইরে বের করার ক্ষেত্রে পানির ভূমিকা রয়েছে।

ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ করা

বাইরে দূষণ চোখে দেখা গেলেও ঘরের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ধূলিকণাও কিন্তু আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যেসব বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা, ভ্যাকিউম করার পাশাপাশি, এসি এবং ঘর পরিষ্কার যন্ত্র বা বাতাস পরিশোধন করার যন্ত্রগুলোর দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন।

ঘরে গাছ রাখা

অনেকেই ঘরসজ্জার জন্য বাড়িতে ছোট ছোট গাছ রাখেন। ঘরে গাছ রাখলে যে শুধু দেখতে ভালো লাগে, তা নয়। ঘরে বিশুদ্ধ অক্সিজেনও ছড়াতে সাহায্য করে। বাতাস পরিশোধন করতে পারে এমন যন্ত্র যদি না রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে গাছ রাখতে পারেন।